২০২১-২২ অর্থবছরে মৌজাওয়ারি শ্রেনিভিত্তিক জমির গড় মূল্য নির্ধারণ।গোপনে দেড় থেকে দ্বিগুন গড় মূল্য করায় জনমনে ক্ষোভ
মেহেরপুর প্রতিনিধিঃ
মেহেরপুরের গাংনী সাব রেজিষ্ট্রার কার্যালয়ের অধিক্ষেত্রাধীন ২০২১ ও ২০২২ অর্থ বছরে মৌজাওয়ারি শ্রেনিভিত্তিক জমির প্রতি শতকের গড় মূল্য তালিকা নির্ধারণ করা হয়েছে। স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ,উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), সাব রেজিষ্ট্রার অফিসের দলিল লেখক,সর্বোপরি গণশুনানী না করে গোপনে জমির মূল্য দেড় গুন থেকে দ্বিগুন করায় জনমনে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
এক্ষত্রে জমি ক্রয় বিক্রয়ে প্রভাব পড়বে বলে বিশেষজ্ঞ জনদের অভিমত পাওয়া গেছে। গাংনী উপজেলায় সর্বমোট ১০৩ টি মৌজা রয়েছ্।েশ্রেণিভিত্তিক ধানী, বাড়ী, বাগান, ভিটা, পুকুর, বাঁশঝাড়,পানবরজ, ছনক্ষেত, মাটিয়াল, ডাঙ্গা, ডোবা, পতিত ও বাজার-দোকান এর জমির গড় মূল্য বাজার মূল্য ছাড়াও অতিরিক্ত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে মেহেরপুরের জেলা রেজিষ্ট্রার ও সম্পত্তির বাজার মূল্য নির্ধারণ কমিটি সভাপতি সাইফুল ইসলাম, গাংনীর সাব রেজিষ্ট্রার সম্পত্তির বাজার মূল্য নির্ধারণ কমিটির সদস্য সচিব মাহফুজ রানা,মুজিবনগরের সাব রেজিষ্ট্রার ও সম্পত্তির বাজার মূল্য নির্ধারণ কমিটির সদস্য অভিজিৎ কর এর স্বাক্ষরিত মূল্য তালিকা প্রকাশ করা হয়েছ্।
জমির প্রতি শতকের গড়মূল্য বিগত বছরের তুলনায় অতিরিক্ত করায় সরকারী রাজস্ব বেশী হবে বলে ধারণা করা হলেও আসলে জমি ক্রয় বিক্রয়ের সংখ্যা অর্থ্যাৎ দলিল সংখ্যা আনুপাতিক হারে কম হবে বলে জানা গেছে। গাংনী উপজেলার জমির মালিকগন শুধুমাত্র চাষাবাদের উপর নির্ভর করে।
এই উপজেলায় শিল্প কল-কারখানা না থাকায় অর্থনৈতিক কাঠামো শুধুমাত্র কৃষির উপর নির্ভরশীল। বৈদেশিক রেমিটেন্সের টাকায় গাংনীতে জমি ক্রয় বিক্রয় হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে জমির মূল্য নির্ধারণে জমি জমার সাথে প্রত্যক্ষ বা সরাসরি যারা জড়িত সেই ইউনিয়ন পর্যায়ে নিয়োজিত সহকারী ভূমি কর্মকর্তা, দলিল লেখকদের সাথে বৈঠক করে অথবা গণ শুনানী করে মূল্য নির্ধারণ করলে সেটা বৈধতা পেত বলে অনেক ভূমি মালিকরা জানিয়েছেন। উক্ত তালিকা বাতিল করে অবিলম্বে পূর্বের তালিকা বিশ্লেষন করে কোন কোন ক্ষেত্রে কম বেশী করে তালিকা করার জন্য আহবান জানানো হচ্ছ্।
জমি ক্রেতা বিক্রেতাদের স্বার্থ বিকিয়ে অসাধুচক্রের ইঙ্গিতে অতিরিক্ত মূল্য নির্ধারণ করে গাংনী বাসীকে বিপদের মধ্যে ঠেলে দেয়া হয়েছে। তালিকা যাচাই করে দেখা গেছে, গাংনী পৌরসভার গাংনী, চৌগাছা,বাঁশবাড়ীয়া মৌজার জমির মূল্য আগের তুলনায় অনেক বেশী কোন কোন ক্ষেত্রে দ্বিগুন নির্ধারণ করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন দলিল লেখক জানান, গাংনী উপজেলার অর্থনৈতিক কাঠামো বিবেচনা করে গড় মূল্য করা হয়নি।
কাউকে না জানিয়ে গোপনে মনগড়া ভাবে সম্পত্তির বাজার মূল্য নির্ধারণ কমিটি গঠন করায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এব্যাপারে জেলা রেজিষ্ট্রার সাইফুল ইসলাম জানান, মৌজাওয়ারি শ্রেণিভিত্তিক জমির এই বাজার মূল্য তালিকা সম্পত্তির সর্বনি¤œ বাজারমূল্য নির্ধারণ বিধিমালা ২০১০ ও ২০১৫ সর্বশেষ সংশোধনী মোতাবেক গাংনী সাব রেজিষ্ট্রার কার্যালয়ে ৩১ শে অক্টোবর -২০২০ ইং তারিখ পর্যন্ত রেজিষ্ট্রিকৃত সাফ বিক্রয় কবলা দলিলের উপর ভিত্তি করে যথাযথ বিধি বিধান অনুসরণ ক্রমে প্রস্তুত করা হয়েছে।